ফাইল ছবি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিয়ে আয়োজিত সেশনে তীব্র প্রশ্ন করার জেরে এবিসি নিউজের চিফ হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্ট মেরি ব্রুসকে “ভয়ংকর সাংবাদিক” বলে আক্রমণ করেন। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন যে এবিসির সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করা উচিত হতে পারে।
ওইদিন ওভাল অফিসে অনুমতি পাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন মেরি ব্রুস। তিনি ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার পরিবারের সৌদি আরবে ব্যবসায়িক লেনদেন কতটা উপযুক্ত ছিল। এরপর তিনি ক্রাউন প্রিন্সকে সরাসরি প্রশ্ন করেন— “যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, আপনি একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৯/১১ ভুক্তভোগীদের পরিবার আপনার এখানে উপস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ। কেন আমেরিকানরা আপনাকে বিশ্বাস করবে? একই প্রশ্ন আপনার জন্যও, মিস্টার প্রেসিডেন্ট।”
প্রশ্ন শোনার পরপরই ট্রাম্প জানতে চান ব্রুস কোন নেটওয়ার্কের সাংবাদিক, এবং এবিসিকে “ফেক নিউজ” আখ্যা দেন। তিনি নিজের পরিবারের ব্যবসায়িক লেনদেনের পক্ষে সাফাই দেন এবং ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্সের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নকে গুরুত্বহীন বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প খাশোগিকে “চরম বিতর্কিত ব্যক্তি” বলে উল্লেখ করেন। অপরদিকে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, খাশোগির মৃত্যু “বেদনাদায়ক” এবং “বড় একটি ভুল”।
পরবর্তীতে জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত নথি প্রকাশে বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প আবারও ব্রুসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “প্রশ্নটা আমার সমস্যা নয়, সমস্যা আপনার মনোভাব। আপনি এক ভয়ংকর রিপোর্টার। আপনি যেভাবে প্রশ্ন করেন সেটাই সমস্যা।” এরপর তিনি দাবি করেন, “মানুষ আপনার প্রতারণা বুঝে ফেলেছে,” এবং বলেন, এবিসির এফসিসি লাইসেন্স পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।
ট্রাম্পের মন্তব্যের ব্যাপারে এবিসি নিউজ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে গত শুক্রবার ব্লুমবার্গ নিউজের একজন সাংবাদিক ক্যাথরিন লুসিকে প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প “পিগি” বলে অপমান করলে ব্লুমবার্গ ঘোষণা দেয় যে তাদের সাংবাদিকরা ভয়-ভীতি ছাড়াই জনগণের জানার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশ্ন করেন, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: