ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের কাছে ৩৩০ মিলিয়ন ডলারে যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য বিমানের যন্ত্রাংশ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাইওয়ানের সাথে এটিই প্রথম এ ধরনের লেনদেন।
প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রস্তাবিত বিক্রয়ের ফলে তাইওয়ানের এফ-১৬, সি-১৩০ এবং অন্যান্য বিমানের বহরের অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রেখে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।’
বেইজিংয়ের সাথে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং তারা দ্বীপটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তে তাইপে কৃতজ্ঞতা জানালেও বেইজিং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় সরকারের নিয়মিত অস্ত্র বিক্রির নীতি অব্যাহত রাখা এবং আত্মরক্ষার সক্ষমতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র কারেন কুও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের গভীরতা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।’
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে এই বিক্রয় ‘কার্যকর’ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যন্ত্রাংশের সরবরাহ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি বজায় রাখতে, বিমান প্রতিরক্ষা ও প্রতিরক্ষামূলক স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করতে এবং চীনের ‘ধূসর-জোনে’ অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বীপের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: