ছবি: কালেক্টেড
মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডিয়ারবর্ন সিটিতে ফের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আরব-আমেরিকান মুসলিম আবদুল্লাহ হাম্মুদ। ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডিয়ারবর্নের মেয়র হলেন তিনি। নিউইয়র্ক সিটিতে জোহরান মামদানির পর হাম্মুদের এই জয়কে মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান নির্বাচনী সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিয়ারবর্ন সিটিতে গত মঙ্গলবারের (৪ নভেম্বর) নির্বাচনে মেয়র হাম্মুদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং রাজনীতির নতুন মুখ নাগি আলমুধেগি। অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, হাম্মুদ প্রায় ১৮ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়েছেন, যেখানে আলমুধেগি পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ২৯৪ ভোট (মোট ভোটের প্রায় ২৮ শতাংশ)।
লেবানিজ বাবা-মার সন্তান মাত্র ৩৫ বছর বয়সি হাম্মুদ একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি প্রথমবার ডিয়ারবর্ন সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেয়ার পর গত চার বছরে হাম্মুদের প্রশাসন উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে। এর মধ্যে রয়েছে পার্কে বিনিয়োগ, জননিরাপত্তা বৃদ্ধি ও ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন কর হার অর্জন।
আবদুল্লাহ হাম্মুদ ডিয়ারবর্নের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম মেয়র নন। এর আগে ২০১০ সালে নিউ জার্সির টিয়ানেক শহরের মেয়র হিসেবে মোহাম্মদ হামিদুদ্দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কংগ্রেসেও মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় তা অতি নগন্য। ২০২৪ সালের নির্বাচনে মিশিগান থেকে রশিদা তালিব এবং মিনেসোটা থেকে ইলহান ওমর (কংগ্রেসে প্রথম দুই মুসলিম নারী) পুনরায় নির্বাচিত হন। এছাড়া ইন্ডিয়ানা থেকে আন্দ্রে কারসনও পুনর্নির্বাচিত হন।
এর ফলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে মুসলিম সদস্যের সংখ্যা এখন তিনজন। পররাষ্ট্রনীতি, নাগরিক অধিকার ও সামাজিক ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলো মুসলিমদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে মুসলিম প্রার্থী হিসেবে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন উগান্ডান-ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি। তিনি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: