
দশমবারের মত বাজেট পাসে ব্যর্থ হলো কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রধান দুই দলই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এতে শাটডাউন আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লষেকদের। এদিকে সরকারি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় বাড়ছে জটিলতা।
কংগ্রেসে আবারও ব্যর্থ হলো অর্থ বরাদ্দ বিল পাসের প্রচেষ্টা। বৃহস্পতিবার ৫১-৪৫ ভোটে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত বিলটি আটকে যায় সিনেটে। এতে আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অচলাবস্থা।
বাজেট বিল আটকে যাওয়ার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে দুই প্রধান দল। রিপাবলিকানরা বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা সমাধানের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট নেতাদের দাবি, রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে কোনো বাস্তবসম্মত আলোচনার উদ্যোগই আসেনি।
এদিকে প্রশাসনিক অচলাবস্থার কারণে জনসাধারণের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান ও সরকারি সেবা কেন্দ্র। ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশদ্বারে ঝুলছে 'ক্লোজড' লেখা সাইনবোর্ড। অনেক দর্শনার্থী সেখানে গিয়েও ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
সরকার বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জনসেবামূলক খাতের কার্যক্রমও। ওয়াশিংটনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, সিডিসির অনেক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লাখো সরকারি কর্মচারী অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইতিহাসের দীর্ঘতম ৩৫ দিনের শাটডাউনের সাক্ষী হয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় মেয়াদেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির দোরগোড়ায় দেশটি।
পরপর দশবার ব্যর্থ হওয়া সিনেটে অর্থ বরাদ্দ বিল এখন মার্কিন রাজনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যেখানে সমঝোতার অভাবে দীর্ঘ মেয়াদে প্রশাসনিক স্থবিরতা ও জনঅসন্তোষ বাড়াবে বলে আশঙ্কা তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর। সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ চালানোর জন্য কংগ্রেসকে তহবিল বরাদ্দ করতে হয়। এবার নতুন বাজেট বা কন্টিনিউয়িং রেজলিউশন পাস হয়নি। সিনেটে যে ৬০ ভোট প্রয়োজন, তা মেলেনি।
গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের 'বিগ বিউটিফুল বিলে' চিকিৎসা সহায়তা খাতে বাজেট কমানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। রিপাবলিকানরা এমন বিল চান, যেখানে শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উল্লেখ থাকবে।
ডেমোক্র্যাটরা চাচ্ছেন জুলাইয়ে পাস হওয়া 'বিগ বিউটিফুল বিল' এ উল্লেখিত ৬৩৮ বিলিয়ন ডলারের চিকিৎসা সহায়তা (মেডিকএইড) বাজেট কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল হোক। উভয় পক্ষ তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি না হওয়ায় প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও শাটডাউন পরিস্থিতির নিরসন হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: