ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিগুন পুরস্কার ঘোষণা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৬

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ভেনেজুয়ালান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর গ্রেফতারে সহায়ক তথ্য দেওয়ার জন্য পাঁচ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসনে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় লাতিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বিশ্বের অন্যতম মাদক পাচারকারী বলে অভিযুক্ত করছে ওয়াশিংটন। এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে মাদুরো প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত দাবি করে অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বনডি বলেছেন, ভেনেজুয়েলান প্রেসিডেন্টের ওপর ইতোমধ্যে ধার্যকৃত আড়াই কোটি ডলার আর্থিক পুরস্কার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, ভেনেজুয়ালভিত্তিক অপরাধচক্র ত্রেন দে আরাহুয়া এবং মেক্সিকোর প্রতাপশালী অপরাধচক্র সিনলোয়া কার্তেলের সঙ্গে মাদুরোর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এরমধ্যে ত্রেন দে আরাহুয়াকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বন্ডি আরও দাবি করেন, সম্প্রতি প্রায় ৩০ টন কোকেনের একটি চালান জব্দ করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ইউএস ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ)। এর প্রায় সাত টন সরাসরি মাদুরোর সঙ্গে এবং বাকিটা তার সহকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা বলে সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউভান গিল। তিনি বলেছেন, আমরা এতে বিস্মিত হইনি। যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের মামলা নিয়ে নিজেদের বেহাল অবস্থা থেকে দৃষ্টি সরাতেই এই মরিয়া চেষ্টা করছে হোয়াইট হাউজ।

দীর্ঘদিন ধরেই মাদুরোর কড়া সমালোচক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভেনেজুয়েলার সর্বশেষ নির্বাচনে মাদুরোর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, চলতি বছরের শুরুতে তার সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রথম মেয়াদেও মাদুরোসহ দেশটির একাধিক শীর্ষ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।

ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিচারবিভাগ সে সময় দাবি করেছিল, কলম্বিয়ার বিদ্রোহীগোষ্ঠী ফার্কের সঙ্গে মাদুরোর প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তারা যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে মাদকে ছেয়ে ফেলার জন্য কোকেনকে অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিল। অবশ্য, মাদক পাচারে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন মাদুরো।

ভেনেজুয়ালা ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা টানাপড়েনের সূত্র ধরেই বন্ডি ওই অভিযোগগুলো উত্থাপন করেন। তবে পুরস্কার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঠিক কীভাবে তাদের অনুকূল ফল নিয়ে আসবে, সে বিষয়ে বক্তব্যে স্পষ্ট কিছু বলেননি অ্যাটর্নি জেনারেল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: