
পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার ঘোষণা করেছে যে, কর্তৃপক্ষ আবারও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ শুরু করছে। তবে এবার থেকে সব আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) অ্যাকাউন্ট প্রকাশ্যে রাখতে হবে এবং এ নিয়ে বাড়তি যাচাই-বাছাই করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে দেখে কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে কি না-বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশটির প্রতিষ্ঠার মূলনীতির প্রতি।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনার আওতায় পড়বে এফ ভিসা। যেটি মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এম ভিসা ও জি ভিসাও (কারিগরি শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য) এর প্রভাবের মধ্যে পড়বে।
যেসব আবেদনকারী নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রোফাইল প্রাইভেট রাখবেন, তাদের গোপন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন বলে সন্দেহ করা হতে পারে।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমাদের নাগরিকদের প্রত্যাশা হলো তাদের সরকার দেশকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে। ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিদিন সেটাই করছে।
ভিসা কর্মকর্তাদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেন যারা ঘোষিত বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়, তাদের সাহায্য করে বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে; কিংবা যারা অবৈধভাবে ইহুদিবিরোধী হয়রানি বা সহিংসতায় জড়িত।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শুরু করা কঠোর নজরদারির অংশ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত বামপন্থি হিসেবে বিবেচনা করেন এবং অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলাকালে এসব বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
ট্রাম্পের এই কঠোর অভিযানের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য শত শত কোটি ডলারের সরকারি অর্থসহায়তা স্থগিত, ছাত্রদের বিতাড়ন এবং ভিসা বাতিলের চেষ্টাও করেছে এ প্রশাসন। তবে এসব উদ্যোগের অনেকটাই অবরুদ্ধ করে দিয়েছে আদালত ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: