ট্রাম্পের বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর, যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড়

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৯ জুন ২০২৫ ২১:৪৩

ফাইল ছবি ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
 
গত বুধবার ট্রাম্প এই নতুন ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এছাড়া বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
 
অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের নতুন এই নিষেধাজ্ঞাটি আদালতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে আরও সতর্কভাবে তৈরি করা হয়েছে। আগের মেয়াদে মুসলিমপ্রধান কিছু দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে যে নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সেটি আদালতে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল।
 
এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, এসব দেশের নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি’ রয়েছে এবং তারা ‘জননিরাপত্তার’ জন্য হুমকি। এছাড়া এদের মধ্যে অনেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান। এসব দেশের নাগরিকদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া যথাযথ নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
 
ট্রাম্প তার বক্তব্যে কলোরাডোর বোল্ডারে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকেও এই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মিশরের নাগরিক, যা নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে পড়ছে না।
 
এদিকে, অভিবাসী ও শরণার্থী সহায়তাকারী বিভিন্ন সংস্থা নতুন নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অক্সফাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট অ্যাবি ম্যাক্সম্যান বলেন, এই নীতি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নয়। এটি বিভাজন সৃষ্টি ও নিরাপত্তার খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর একটি উপায়।
 
অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘ভেনেজুয়েলাবাসীদের কলঙ্কিত করার এবং অপরাধী হিসেবে তুলে ধরার অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: