
গোসল ও গৃহস্থালির কাজে পানির অপচয় রোধে যুক্তরাষ্ট্রে যে সীমারেখা ছিল, তা বাতিল করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ওবামা ও বাইডেন প্রশাসন গোসলের সময় পানির ব্যবহারের যে সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প।
নির্বাহী আদেশ জারির পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে আমি সুন্দরভাবে গোসল করতে চাই। আমার দারুণ চুলগুলোর যত্ন নিতে চাই। কিন্তু চুল ভেজার জন্য আমাকে পানির নিচে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। পানি পড়ে ফোঁটায় ফোঁটায়। এটা হাস্যকর।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘হাত ধুতে স্বাভাবিক যে সময় লাগার কথা, তার চেয়ে যদি পাঁচ গুণ বেশি সময় লাগে, তাহলে আপনি কীভাবে কী করবেন? পানি একই আছে এবং আমরা এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করছি, যেন তারা বাঁচতে পারে।’
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আরও দারুণভাবে গোসলের সুযোগ তৈরি করে দিলেন ট্রাম্প। গৃহস্থালির একটি প্রয়োজনীয় অধিকারকে এত দিন আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্নে পরিণত করে রেখেছিলেন বারাক ওবামা ও জো বাইডেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর গৃহস্থালি কাজে পানির অপচয় রোধে পানির সীমারেখা নির্ধারণ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। ওই আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাসাবাড়ির পাইপলাইনে পানির প্রবাহের গতিতে সীমারেখা টানা হয়েছিল।
২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট ওবামার পানিপ্রবাহের গতিসীমাসংক্রান্ত আদেশ বাতিল করেন। কিন্তু পরে ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওবামার সেই আদেশ পুনর্বহাল করেন। এখন ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আবার সেই আদেশ বাতিল করলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: