
ইসরায়েলকে নিয়ে বর্তমানে অধিকাংশ আমেরিকান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। সম্প্রতি পিউ রিসার্চের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রকাশিত পিউ রিসার্চের ওই জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩ শতাংশ নাগরিক এখন ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। ২০২২ সালের মার্চে করা এক জরিপে এ হার ছিল ৪২ শতাংশ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিনই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেই আক্রমণ গাজা যুদ্ধে রূপ নিয়েছে, যা চলছে এখনো।
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ইসরায়েলের প্রতি বেশি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকেন। সর্বশেষ জরিপে ৬৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৩৭ শতাংশ রিপাবলিকান ইসরায়েলকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেছেন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ২০২২ সালে ২৭ শতাংশ রিপাবলিকান ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব রাখতেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ইসরায়েলের প্রতি বেশি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকেন।
সর্বশেষ জরিপে ৬৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৩৭ শতাংশ রিপাবলিকান ইসরায়েলকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেছেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ২০২২ সালে ২৭ শতাংশ রিপাবলিকান ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব রাখতেন।
তুলনামূলক কমবয়সী রিপাবলিকান, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের নিচে, বিশেষ করে তাঁদের মধ্যে ইসরায়েলকে অপছন্দ করার হার বেড়েছে। এ বয়সের প্রায় ৫০ শতাংশ রিপাবলিকান এবার ইসরায়েলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ইসরায়েলকে নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে। এবারের জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক কথা বলেছেন, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে শুধু ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী রিপাবলিকান গ্রুপ ছাড়া বাকি সব ধরনের বয়স গ্রুপের মানুষ মনে করেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা তাদের ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছরে মার্কিন ইহুদিদের সঙ্গে ইসরায়েলের দূরত্ব বেড়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল সরকার ও দেশটির সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ দূরত্ব আরও দ্রুত বেড়েছে।
যদিও অন্তত ৭৩ শতাংশ মার্কিন ইহুদি এখনো ইসরায়েলের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করেন। তাঁদের পর শ্বেতাঙ্গ ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে ইসরায়েলের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব বেশি, যা প্রায় ৭২ শতাংশ।
তবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, শ্বেতাঙ্গ প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক উভয় দলের মানুষের মধ্যে ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব বেড়েছে। এ হার যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৫৩ শতাংশ।
মুসলিম মার্কিনদের মধ্যে ৮১ শতাংশ ইসরায়েলের বিপক্ষে ও ১৯ শতাংশ পক্ষে মত দিয়েছেন।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যান। এর আগে পিউ রিসার্চের এ জরিপ পরিচালিত হয়। সফরে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নেতানিয়াহু।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: