
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি শান্তি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকে বসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কর্মকর্তারা। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠকের কয়েকদিন পর চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন কিয়েভকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা স্থগিত করে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনার কথা সামনে আসছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এমন তথ্য দিয়েছে।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেছেন, তিনি আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে শান্তি চুক্তির কাঠামো তৈরি করবেন।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে উইটকফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন রিয়াদ অথবা জেদ্দায় ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে একটি বৈঠকের সমন্বয়ের জন্য আলোচনা করছি। শহরটি হয়তো পরিবর্তন হবে, তবে বৈঠক সৌদি আরবে হবে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, একটি শান্তি চুক্তি এবং প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা আলোচনার প্রাথমিক বিষয় হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, তিনি আগামী ১০ মার্চ একদল কর্মকর্তার সঙ্গে সৌদি আরব ভ্রমণ করবেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, আমি সৌদি আরব সফরে যাচ্ছি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এরপর আমার প্রতিনিধিদল সৌদি আরবে থাকবে আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। ইউক্রেন শান্তিতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ‘চিৎকার-চেঁচামেচির’ পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় নেতাকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। তারপর এটিই হবে ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম উচ্চ স্তরের বৈঠক। জনসমক্ষে এমন বিবাদের পর ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য এবং সহায়তা বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। তবে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় নেতা বলেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: