অভিষিক্ত হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম তিনজন সিনিয়র কূটনীতিককে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেয়ার কথা জানিয়েছে। রয়টার্সের খবরে একথা বলা হয়েছে। ডেরেক হোগান, মার্সিয়া বার্নিকাট এবং অ্যালাইনা টেপ্লিটজ এই তিন কূটনীতিক স্টেট ডিপার্টমেন্টের সদস্য ছিলেন। টিম ট্রাম্প যে প্রশাসনিক বিভাগে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে শীর্ষ কূটনীতিকদের এই পদত্যাগই তার প্রমাণ।
বিষয়টির সাথে পরিচিত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, "উদ্বেগতো রয়েছেই। বিষয়টি আরও খারাপ কিছুর দিকে ইঙ্গিত করে।" রয়টার্স উল্লেখ করেছে, প্রতিবেদনে যে তিনজন কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান প্রশাসনের অধীনে কাজ করেছেন। প্রেসিডেন্ট যখন অফিস ত্যাগ করেন তখন কূটনীতিকরা সাধারণত পদত্যাগ করেন না, তাঁরা নিজ পদে বহাল থাকেন। তার পুরো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জুড়ে, ট্রাম্পের এই গুরুতর পদক্ষেপ আমলাতান্ত্রিক স্তরে সরকারকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
ট্রাম্পের টিম রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে - ' সময় এসেছে এমন কর্মকর্তাদের সন্ধান করা যাঁরা সম্পূর্ণরূপে আমাদের জাতি এবং আমেরিকার কর্মজীবী পুরুষ ও নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেবে। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। তাই নিজেদের লক্ষ্যগুলিতে ফোকাস করতে একটি শক্তিশালী টিমের প্রয়োজন। যারা প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধ পরিকর।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ এবং ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলতার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ৩ জন কর্মকর্তার পদত্যাগের খবর সামনে এলো। ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেকেই সন্দিহান, অনেকে আবার এই পরিবর্তনকে সাফল্যের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে দেখেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একটি উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক নীতি ছিল 'আব্রাহাম অ্যাকর্ডস', যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর ইসরাইল ও হামাস তাদের যুদ্ধ শেষ করার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। প্রকৃতপক্ষে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে সম্ভাব্য গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পেছনে মূল ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: