ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় হিমশিম অবস্থা অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের। এরই মধ্যে আবহাওয়াবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাবানলদুর্গত এলাকাগুলো ‘আগুনে টর্নেডোর’ ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি বিরল হলেও এমন এক বিপজ্জনক অবস্থা, যেখানে দাবানল তার নিজস্ব আবহাওয়া তৈরি করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছে, দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকায় বাতাসের তিব্রতা বেশি রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ খুবই শুষ্ক। এ দুইয়ে মিলে এক ‘বিশেষ বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে।
আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, এ পরিস্থিতিতে বড় আকারের নতুন দাবানল দেখা দিতে পারে। আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে আগুনে টর্নেডোর কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আবহাওয়াবিদ টড হল বলেছেন, বর্তমান চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় এমন টর্নেডো সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ভয়াবহ দাবানলে পুড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় কারণ সান্তা অ্যানা নামের ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কিছুটা কমায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গতি আবার বেড়েছে। এতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের কারণে ইতিমধ্যে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবানলে পুড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় কারণ সান্তা অ্যানা নামের ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কিছুটা কমায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বাতাসের গতি আবার বেড়েছে। এতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল শুরু হয় ৭ জানুয়ারি। সেখানকার প্যালেসেইডস ও এটন দাবানল দুটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলা হচ্ছে। এ দুই দাবানলে অন্তত ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়েছে। ভৌগোলিক হিসাবে, এ আয়তন নিউইয়র্কের ম্যানহাটান এলাকার আড়াই গুণ। দাবানলের বিপর্যয়ে অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় পুলিশ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, আরও ৫৭ হাজার অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
এদিকে তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড ফ্ল্যাগ’ জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর। দাবানলে মৃত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে ২৪-এ দাঁড়িয়েছে।
দপ্তর জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আরও এক সপ্তাহ তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে। লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেনচুরা কাউন্টির কিছু অংশে গত সোমবার রাতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ম্যাজিক মাউন্টেইন এলাকায় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭২ মাইল। এ ছাড়া মিল ক্রিক, স্যান্ডস্টোন পিক, চিলাও এবং পালো সোলা এলাকায় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬২ মাইল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: