অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বের করে দিতে চাই এবং দেশগুলোকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। আর তারা যদি অভিবাসীদের ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব না। আমরা সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে চড়া শুল্ক আরোপ করবো।’
ট্রাম্প বলেন, ‘যেসব দেশ অভিবাসীদের ফেরত নিতে অস্বীকার করবে, তাদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে ‘অত্যন্ত কঠিন’ করে তুলবেন তিনি। ওই সব দেশের বিরুদ্ধে চড়া শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য যাই করতে হোক না কেন, করবো। আমি কোনো পরোয়া করি না। যাই ঘটুক আমি তাদের বের করবোই। আবারও আমি এটা একেবারে আইনের সীমার মধ্যেই করবো, যদি নতুন ক্যাম্পেরও প্রয়োজন হয়। তবে আমি আশা করি, আমাদের এটার খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। কারণ আমি তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। আমি চাই না, তারা আগামী ২০ বছর ক্যাম্পে বসে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, আমি অভিবাসীদের পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। তাদের তাদের সবাইকে বিশেষ করে বাবা-মা, সন্তানদেরও একসঙ্গে প্রত্যাবাসিত করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল বৈধ উপায়ে লোকজনকে দেশে প্রবেশ করতে দেবে বলে জোর দেন তিনি।
নবনির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা চাই না কারাগার থেকে মানুষ এখানে আসুক। আমরা চাই না ভেনেজুয়েলা এবং অন্যান্য অনেক দেশের কারাগার থেকে লোকজন আসুক। এটা কেবল দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোই নয়। আমরা চাই না, আমাদের দেশে কারাগার খুলে দেয়া হোক। আমরা তাদের বন্দীদের গ্রহণ করছি না। আমরা এটা করছি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে চান বলে জানিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই কাজে আমরা ন্যাশনাল গার্ডকে পাবো। এটা করার জন্য আমরা দেশের আইন অনুযায়ী যতদূর যেতে পারি যাবো।’
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্টের শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: