নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে বলে ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি। কারণ তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রতিকূল পদক্ষেপ হবে।
ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটুকেটে থ্যাংসগিভিংয়ের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় এ কথা বলেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভৌগলিক দিক দিয়ে আমেরিকা একটু অনন্য অবস্থানে রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও দুই প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডা দিয়ে আমরা পরিবেষ্টিত। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ানো মোটেই কাম্য নয়।
এর আগে সোমবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সীমান্তে মাদক ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করবেন তিনি।
তার এ ঘোষিত পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (ইউএসএমসিএ) লঙ্ঘন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম বৃহস্পতিবার বলেছেন, বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। তখন শুল্ক নিয়ে বিশেষ কোনও আলোচনা হয়নি তাদের মধ্যে। বরং দুদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
ট্রাম্পও ফোনালাপের বিষয়ে প্রায় একই সুরে বলেছেন, মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন শেইনবম। এটি কার্যকরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত বন্ধ করার সমান।
শেইনবম বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকান সীমান্তে পৌঁছানো আটকাতে তিনি একটি কৌশল উপস্থাপন করেছেন। এতে সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
চলতি মাসের শুরুতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাইডেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ট্রাম্প কী করবেন বা করবেন না, তা নিয়ে আমার মনে হয় তার নিজের কাছে পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে।
থ্যাংসগিভিংয়ের একটি প্রথা হলো, জীবনে কীসের জন্য কেউ কৃতজ্ঞবোধ করছেন তা উল্লেখ করা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রশাসনের অগ্রগতির জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করেন।
চীনে আটক তিন আমেরিকান নাগরিকের মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে বাইডেন বলেন, তারা ঘরে ফিরতে পেরেছে বলে আমি খুশি।
এদিকে, চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে হটলাইন এবং দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করেছেন উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, শি জিন পিং ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিতে চান না বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি ঝুঁকি বুঝে পদক্ষেপ নিতে জানেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: