ইসরাইলের আগ্রাসনে আহত এবং জটিল রোগে আক্রান্ত অসুস্থ চার ফিলিস্তিনি শিশু নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। প্রথম দফায় আরও অর্ধশতাধিক শিশু ও তাদের পরিবারকে চিকিৎসার জন্য দেশটিতে নেয়া হবে।
ফিলিস্তিনের গাজা থেকে উদ্ধার হওয়া চার শিশু আসবে যুক্তরাষ্ট্রে। এজন্য শত শত শিশুর অপেক্ষা ইলিনয়ের শিকাগো বিমানবন্দরে। ১৬ নভেম্বর, শনিবার চার ফিলিস্তিনি শিশু পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান শত শত আমেরিকান নাগরিক।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানবন্দরের বাইরে আসে যুদ্ধে বিধ্বস্ত শিশুরা। সঙ্গে তাদের বাবা-মা। এসময় স্বাধীন ও মুক্ত ফিলিস্তিনের দাবিতে স্লোগানে মুখরিত হয় বিমানবন্দর।
ফিলিস্তিন থেকে আসা চার শিশুকে বরণ করে নিতে হাজির হন বিভিন্ন বয়সি ও শ্রেণী-পেশার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সাহায্য সংস্থার কর্তব্যরতরা জানান, চিকিৎসার জন্য আড়াইশ শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার জন্য তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩২ জনকে আনার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র সিইও মাসুম মাহবুব বলেন, এই শিশুদের যে চিকিৎসা দরকার সেটা ওই অঞ্চলে সম্ভব নয় বলেই একটা প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আনা সম্ভব হয়েছে।
এসময় ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান আমেরিকান মানবাধিকারকর্মীরা।
হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র কনসালটেন্ট মেহরীন বোখারী বলেন, গাজা থেকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রথমবারের মত তাদের এখানে সফলভাবে আনা হয়েছে।
নভেম্বরের ৫ তারিখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে ভোট দেন বিপুল সংখ্যক মুসলিম। তাদের প্রত্যাশা, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রতি রক্ষা করবেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: