আরব আমেরিকানদের ভোট পেতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। আগামীকাল ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। এদিন ভোটাররা তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য আগে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কমলা হ্যারিসকে।
তবে ভোটে জেতার অংশ হিসেবে এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলার মুখেও শোনা গেল গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি। ৩ নভেম্বর রবিবার মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমর্থকদের উদ্দেশে কমলা বলেন, ‘এটা (গাজা যুদ্ধ) ধ্বংসাত্মক এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে (নির্বাচিত হলে) গাজা যুদ্ধ বন্ধে আমি আমার ক্ষমতার মধ্যে সব কিছু করব।’
ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মিশিগানে আরব আমেরিকান ভোটারদের কমলার ওপর ক্ষোভ ছিল। তবে এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এবার বলেছেন, ‘গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মাত্রা এবং লেবাননে বেসামরিক হতাহত ও বাস্তুচ্যুতির কারণে এই বছরটি কঠিন ছিল।’
মিশিগানে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত মুসলিম ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন। এবারও তাদের থেকে একই ধরনের সমর্থন আশা করছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা।
যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইসরায়েলের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে, গাজার দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিতে কাজ করব।’
যদিও এর আগে কমলা হ্যারিস বলেছিলেন, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে। এ ছাড়া ইসরায়েলকে বাইডেন প্রশাসন যে সহায়তা দিয়ে আসছে, কমলা তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিল বেশ কিছু গণমাধ্যম।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, মিশিগানের মুসলিম ভোটাররা গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টাইনের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ গাজা যুদ্ধের প্রতি কমলা হ্যারিসের অবস্থান নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট। রাজ্যটিতে হ্যারিস এবং ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: