চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির মুখে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদারে সহায়তা করতে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২৬ অক্টোবর শুক্রবার পররাষ্ট্র দপ্তর এ অনুমোদন দেয়। এই প্যাকেজের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে পরীক্ষিত একটি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, অস্ত্র বিক্রির এই নতুন চুক্তিতে ১১৬ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং আনুমানিক ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার মূল্যের রাডার সিস্টেম রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রধান ঠিকাদার হবে আরটিএক্স কর্প।
এই অস্ত্র বিক্রির ফলে তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলে, ‘প্রস্তাবিত এই অস্ত্র বিক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি তাইওয়ানের নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে তিনটি ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (এনএএসএএমএস)। মাঝারি-পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা যাবে এই উন্নত ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এনএএসএএমএস সিস্টেমটি সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে শুধু অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, চীনের ঘন ঘন সামরিক কৌশলের মুখে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এনএএসএএমএস।
চীনের যে কোনো আক্রমণকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করার জন্য তাইওয়ান নিজস্ব সাবমেরিন নির্মাণসহ নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে একটি আইনের আওতায় দেশটিকে আত্মরক্ষার জন্য সহায়তা প্রদান করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: