ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে চলতি বছরে বিরল ‘মাংসখেকো’ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অঙ্গরাজ্যটিতে এ বছর আঘাত হানা একাধিক হারিকেনের প্রভাবে এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ফ্লোরিডা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়াটির নাম ‘ভিব্রিও ভালনিফিকাস’। চলতি বছর এ পর্যন্ত এই ব্যাকটেরিয়ায় ৭৪ জনের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যদিকে গত বছর এ ব্যাকটেরিয়ায় ৪৬ জন সংক্রমিত হয় এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ‘ভিব্রিও ভালনিফিকাস’ উষ্ণ ও সমুদ্রের নোনা পানিতে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়া। এটি বেঁচে থাকার জন্য লবণের প্রয়োজন।
এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষ হারিকেন ‘হেলেন’কে দায়ী করেছে। গত মাসে তীব্র বাতাস ও উঁচু ঢেউ নিয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। হেলেনের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ভিব্রিও’ ব্যাকটেরিয়াগুলো সাধারণত উষ্ণ উপকূলীয় পানিতে পাওয়া যায়। খাবার বা পানির সঙ্গে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাকিস্থলিতে গেলে কিংবা শরীরের ক্ষতস্থান দূষিত পানির সংস্পর্শে এলে মানুষ অসুস্থ হতে পারে।
কর্তৃপক্ষের মতে, ভারি বৃষ্টিপাত এবং বন্যার পরে বিশেষ করে নোনা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়।
সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, ‘ভিব্রিও ভালনিফিকাস’র সংক্রমণে ত্বক ও নরম টিস্যু ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় এর বিস্তার রোধ করার জন্য, সংক্রামিত অঙ্গ কেটে ফেলতেও হতে পারে।
তবে এবরাই প্রথম নয়, এর আগেও ফ্লোরিডায় ভিব্রিও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে। ২০২২ সালে এই মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়ায় ৭৪ জন সংক্রমিত হন এবং ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: