১ অক্টোবর মঙ্গলবার নিউইয়র্কে বিতর্কের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স ও টিম ওয়ালজ। ভোটারদের মন জয় করতে তাদের মধ্যে তীব্র কথার লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফলাফল নির্ধারণে ভ্যান্স ও ওয়ালজের বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কথাই লড়াইয়ে এরই মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ওহাইওর সিনেটর জে ডি ভ্যান্স ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ নিজেদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমিয়ে তুলেছেন।
৪০ বছর বয়সী ভ্যান্স তার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরেই ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করে চলেছেন। তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী কমলাকে ‘চাইল্ডলেস ক্যাট লেডি’ বলে আক্রমণ করার পাশাপাশি ‘বিড়ালখাওয়া অভিবাসী’ বলে ভুয়া খবর ছড়ানো ও প্রতিদ্বন্দ্বীর সামরিক রেকর্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে, সাবেক শিক্ষক ৬০ বছর বয়সী ওয়ালজ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সুরে ভ্যান্স ও ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছেন। তিনি রিপাবলিকদের ‘অদ্ভুতুড়ে’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তবে এই দুজনের ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে মিল রয়েছে। তা হচ্ছে, কমলা ও ট্রাম্প দুজনই চান যে তাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের ভোটারদের মন জয় করে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথ সুগম করবেন।
আজকের এ বিতর্কে ভ্যান্সের ওপর চাপ বেশি থাকবে। ওয়ালজ তাকে নারী ও গর্ভপাত নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আক্রমণ করতে পারেন। এ ছাড়া ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়েও তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে ভ্যান্সের পক্ষ থেকে ওয়ালজকে মার্ক্সবাদী হিসেবে আক্রমণ করা হতে পারে।
জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয় ভোটের হিসাবে ওয়ালজের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন ভ্যান্স। একসময় তার রেটিং ভাইস প্রেসিডেন্টের মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে কম ছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: