যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক অমসৃণ- মূলত দুই দেশের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে। একে অপরকে তীব্র আক্রমণ করলেও, দুইপক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে নিউইয়র্কে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ মন্তব্য করেন। আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে ব্লিঙ্কেন তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ‘বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা, চীন রাশিয়াকে এমন সবসামগ্রী সরবরাহ করছে যা সামরিক কাজে ব্যবহার হতে পারে। যদিও বেইজিং দাবি করেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান দেখতে চায় চীন।
চলমান বিবদমান ইস্যুতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাইডেন এবং শির মধ্যে একটি বৈঠক হবে আশাবাদ প্রকাশ করছেন ব্লিঙ্কেন।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতিক বলেন, ‘আমরা নেতাদের যোগাযোগের গুরুত্বের বিষয়েও একমত হয়েছি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ শীর্ষ পর্যায়ে দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতে পারে’।
আগামী নভেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বাইডেন-শির মধ্যকার শীর্ষ বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লিঙ্কেন আশা করছেন, এবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নতুন কূটনৈতিক যুগের সূচনা করবে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া, এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের কারণে বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে না হয়ে শত্রুভাবাপন্ন অবস্থান নিয়ে শেষ হতে পারে। এরপরও দুই পরাশক্তির পারস্পরিক প্রতিযোগিতা যাতে দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের দিকে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে চায় বাইডেন প্রশাসন।
গত বছরের নভেম্বরে সবশেষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: