জাতিসংঘের ভাষণে যুদ্ধ বলবৎ রাখার ঘোষণা দিলেন বাইডেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণ দিলেন জো বাইডেন। তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্রের অস্থিতিশীলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তােই নয়, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য আরও বড় সংঘাতের মুখে দাঁড়িয়ে। তবে জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারও ফাঁকা বুলি ছুড়লেন বাইডেন।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছে। আর ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যে সমস্যা এখনো কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে বাইডেন মনে করেন।

বাইডেন ক্ষমতায় বসার দুই বছর পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে বসে রাশিয়া। তবে ওই যুদ্ধ থামাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বাইডেন। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির কারণেই ইউরোপে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে খুব একটা আগ্রহও নেই। ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তারা। কিয়েভের প্রতি নিজের সমর্থন জাতিসংঘেও পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন আর দুই বছর ধরে চলমান ইউরোপের যুদ্ধে বাইডেন সমাধানকারী হিসেবে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি।বরং জোরালোভাবে ইসরায়েলকেই সাহায্য দিয়ে গেছেন। যার কারনে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক যুদ্ধ বাধাচ্ছে।

বাইডেনের ক্ষমতার মেয়াদ আর মাত্র চার মাস। বর্তমান বিশ্বে চলা সংঘাত নিয়ে ৮১ বছর বয়সী নিঃসন্দিহান। তবে ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে নতুন কিছু উপহার দিতে পারলেন না বাইডেন। এ দিন তিনি ইউক্রেন, গাজা ও সুদানের মতো বৈশ্বিক সংকট নিয়ে কথা বললেও তার প্রেসিডেন্সিতেই বিশ্বে নতুন করে শুরু হওয়া এসব সংকটের সমাধানের কোনো পথ দেখিয়ে দিতে পারেননি তিনি।

১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশে লেবানন ইস্যুতে বাইডেন বলেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ কারও কাম্য নয়। তারপরও যদি এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এখনো কূটনীতিক সমাধান সম্ভব। জোর করতালির মধ্যেই বাইডেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

পুতিনের নিজের মূল লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ভালো খবর হচ্ছেন পুতিনের যুদ্ধ তার মূল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ। তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন এখনও মুক্ত। আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া বা মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। আমরা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব, ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ইউক্রেন ন্যায়ভাবে জয়ী হয় এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: