গাজা যুদ্ধের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা: সৌদি কূটনীতিক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রতি ১১ মাস ধরে গাজায় চলমান নৃশংসতার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানালেন সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে সৌদি আরবের এই সাবেক রাষ্ট্রদূত গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলকে অবিলম্বে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলেছেন। 

মঙ্গলবার প্রিন্স তুর্কি বলেন, ‘গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ এবং ইসরাইল যা করছে তার শাস্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে। কিন্তু এই দেশগুলোর কেউই তা করতে রাজি নয়।’

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার “বেলফোর” ঘোষণা করেন। যার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ইহুদি জনগণের জন্য ফিলিস্তিনে একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। উল্লেখ্য তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল এবং সেই সময় ফিলিস্তিন অঞ্চলটি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অর্থাৎ ওই ভূখণ্ডের প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্রিটিশ সরকারের হাতে ছিল।

ইসরাইলিরা এই বেলফোর ঘোষণাকে আজকের আধুনিক ইসরাইল গঠনের ভিত্তি বলে মনে করে। অন্যদিকে আরব বিশ্বের একাংশ মনে করে এই নথির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।

বর্তমানে ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বি-রাষ্ট্রগঠন নিয়ে যে সব আলোচনা হচ্ছে, সেখানে ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে হবে বলছেন প্রিন্স তুর্কি। চলমান গাজায় সংঘাতের দায় ব্রিটেনেরও।

প্রিন্স তুর্কি বলেন, ‘সোমবার এখানে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের একটি বক্তৃতায়, আমি পরামর্শ দিয়ে বলেছিলাম; বেলফোর ঘোষণার কারণে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্রিটেনের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র নিয়ে তাদের পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে হবে’।

১৯৭০ এর দশকের আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু শিল্পোন্নত দেশের বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর পরিণামে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। যার সুদুরপ্রসারী প্রভাব পড়েছিল বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে।

অনেক মুসলিম দেশ মনে করে, বর্তমানেও একই উদ্যোগ নেওয়া উচিত আরব দেশগুলোর। তবে প্রিন্স তুর্কি মনে করেন, তেল নিষেধাজ্ঞার এই ধারণা এই সময়ে কাজ করবে না।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: