জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সমাধানে নেতৃত্ব দিতে হবে ইউক্রেনকেই। ১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার কিয়েভে একটি সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন। সালিভান বলেন, ইউক্রেনের জনগণের ওপর যেকোনও চাপিয়ে দেওয়া শান্তি পরিকল্পনা সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মতো মৌলিক নীতির পরিপন্থি, তা ন্যায়সঙ্গত বা টেকসই হবে না। সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ খবর জানিয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ চালানোর পর থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে যুদ্ধের সমাধানের প্রস্তাব আসছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনাতেই কেবল রাশিয়ার দখল করা সব ইউক্রেনীয় অঞ্চল পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।
চীন ও ব্রাজিল যুদ্ধবিরতি ও রণক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার প্রস্তাব দিলেও তারা ইউক্রেনের মতামত নেয়নি। তবে রাশিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করেছে দেশ দুটি। পুতিন চান ইউক্রেন মস্কোকে চারটি অঞ্চল ছেড়ে দিক এবং ইউক্রেন নিজের সামরিক বাহিনীকে নিরস্ত্র করুক। তবে ভবিষ্যতে আবারও আক্রমণের কোনও নিশ্চয়তা দেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিংমেট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি চুক্তি কেমন হতে পারে তা নিয়ে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তার প্রস্তাব পুতিনের চাহিদার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে ইউক্রেনকে ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ না দেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্প শুক্রবার কিয়েভ সম্মেলনে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, যদি তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তবে রাশিয়া কখনোই ইউক্রেন আক্রমণ করত না। তিনি বর্তমান ‘দুর্বল আমেরিকান প্রশাসন’কে দোষারোপ করেছেন।
সালিভান আরও বলেন, যারা ইউক্রেনের যুদ্ধকে এক দিনে সমাধান করতে পারবে বলে দাবি করছে, তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের প্রস্তাবগুলো কখনোই টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: