ইলন মাস্ক : সংগৃহীত ছবি
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও ও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্ম এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার এমন একটি আইন আনতে যাচ্ছে, যে আইনে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি অনলাইনে ভুল তথ্যের বিস্তার ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সেই কোম্পানিকে জরিমানা করা হবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সংসদে একটি খসড়া প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে বিপজ্জনক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে ব্যবহারকারীদের জন্য আচরণবিধি তৈরি ও তা প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিকে তার বৈশ্বিক আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে সরকার।
যোগাযোগমন্ত্রী মিচেল রোল্যান্ড বলেন, ‘ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি অস্ট্রেলীয়দের নিরাপত্তা ও সুস্থতার পাশাপাশি আমাদের গণতন্ত্র, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। এই সমস্যাটিকে আর বাড়তে দেয়া যায় না।’
প্রস্তাবিত আইনে কঠিন শর্ত থাকায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওপর বেজায় চটেছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত এই আইনের জন্য দেশটির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ও বলেছেন তিনি।
১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাত্র একটা শব্দ লিখে একটি পোস্ট দেন ইলন। সেই শব্দটি ছিল ‘ফ্যাসিস্ট’। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি পরিষেবা মন্ত্রী বিল শর্টেন মাস্কের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি টেসলার সিইওকে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন।
গত এপ্রিল মাস থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে ইলন মাস্কের দ্বন্দ্ব চলছে। সেই সময় সিডনিতে এক খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারককে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে কিছু পোস্ট অপসারণের জন্য এক্সকে নির্দেশ দেয় আলবানিজ সরকার।
তবে আদালতে সরকারের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এক্স। তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ ইলন মাস্ককে ‘উদ্ধত ধনকুবের’ বলে মন্তব্য করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: