ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের 'বিস্ফোরণের' ভয়াবহ দৃশ্য প্রকাশ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:০২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দাবানলের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। দাবানলের তীব্রতায় গোটা অঞ্চলের আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ড্রামাটিক পাইরোকিউমুলাস বা ফায়ার ক্লাউডস দাবানলের ঠিক ওপরে ভয়াবহভাবে 'বিস্ফোরণের' ভয়াবহ দৃশ্য আবহাওয়াবিষয়ক স্যাটেলাটে (ভূ-উপগ্রহ) স্পষ্টতই ধরা পড়েছে। ১২ সেপ্টম্বর, শুক্রবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিষয়ক স্যাটেলাইট ধারণ করা ভিডিওতে ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল থেকে পাইরোকিউমুলাস ধোঁয়ার বরফ দেখা যায়।

পাইরোকিউমুলাস মেঘমালা তীব্র তাপের উৎসের ঠিক উপরে তৈরি হয়, যেমন দাবানল বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। এই ধরনের তীব্র তাপের ওপরে বায়ু দ্রুত এবং বিশৃঙ্খলভাবে উপরের দিকে উঠতে থাকে, যার ফলে বাতাসের আর্দ্রতাকে ঠান্ডা করে দেয় এবং ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করে।

কিন্তু পাইরোকিউমুলাস মেঘগুলো আগুন থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া এবং ছাই দিয়ে তৈরি হয়। এই মেঘগুলো সাধারণ সাদা এবং ফাঁপানো মেঘের চেয়ে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে থাকে।

১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং আমেরিকান ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা যৌথ ডেটা সংগ্রহের উদ্যোগ হিসেবে মহাকাশে অবস্থানরত ল্যান্ডস্যাট-৮ স্যাটেলাইটে এমন দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়।

বিশাল পাইরোকিউমুলাস মেঘমালা জ্বলন্ত আগুনের ঠিক ওপরে ভয়ংকর রূপে বুদবুদ করছে। সেখান থেকে প্রচুর ধোঁয়া এবং ছাই আকাশের আরও কয়েক হাজার ফুট উপরে উঠে।

নাসার তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন পরে পাইরোকিউমুলাস মেঘগুলো অবশেষে পাইরোকুমুলোনিম্বাসে পরিণত হবে যা বজ্রপাত এবং বৃষ্টি তৈরি করে। যদিও এই ধরনের ঝড় থেকে পাওয়া বৃষ্টিপাত অগ্নিনির্বাপণ সহায়ক হতে পারে।

উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর, রোববার শুরু হওয়া দাবানলে কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি এবং বাণিজ্যিক ভবন পুড়ে গেছে। সান ফ্রান্সিসকো থেকে ১১৭ কিলোমিটার উত্তরে ক্লিয়ারলেক সিটিতে ৪০ থেকে ৫০টি গাড়ি ধ্বংস করেছে। তাছাড়া প্রায় চার হাজার মানুষ সরে যেতে বাধ্য হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া এ ঘটনায় ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি ফসলি জমি পুড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিগ বিয়ারের জনপ্রিয় স্কি শহরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে বসতবাড়িসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: