গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাওয়ার যুদ্ধে বেগ পেতে হচ্ছে ট্রাম্পকে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৬ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৩

ডোনাল্ড ট্রাম্প : সংগৃহীত ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্প : সংগৃহীত ছবি

গত এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যমের মনোযোগ পাওয়ার লড়াইয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নির্বাচনী প্রচারণায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ব্যক্তিগত আক্রমণে বেশি মনোযোগ দেয়ায় মূলত পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। খবর রয়টার্স।

বিষয়টি উপলব্ধি করে এরই মধ্যে অবশ্য নির্বাচনী প্রচারের কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।  ২৩ আগস্ট শুক্রবার নেভাদায় এক সমাবেশে তিনি কমলা হ্যারিসকে খুব একটা কটাক্ষ করেননি। বরং ট্যাক্স ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে নিজের প্রতিশ্রুতির দিকেই বেশি মনোযোগ ছিল তার। 

হ্যারিসের চারদিনের ডেমোক্রেটিক কনভেনশনের বিপরীতে নানা কর্মসূচি ছিল ট্রাম্পের। তবে সেসব কর্মসূচিও যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়নি। আয়োজনে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি ও অপরাধ নিয়ে ভাষণগুলোও হ্যারিসের আলোচনার বিষয়বস্তুকে ছাপাতে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনে বিষয়টি অনেকের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কেননা বিগত সময়ে বরাবরই খবরের শিরোনামে ট্রাম্পের আধিপত্য ছিল উল্লেখযোগ্য ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহকারীরা আশা করছেন, গত বৃহস্পতিবারের জাঁকজমক ‘ফাইনাল’ কনভেনশনই কমলা হ্যারিসের ‘হানিমুন পিরিয়ডের’ পরিসমাপ্তি। শিকাগোয় হ্যারিসের স্বীকৃতি বক্তৃতার সময় ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ’ সোশ্যাল প্লাটফর্মে কয়েক ডজন পোস্ট দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি হ্যারিসকে মিথ্যাবাদী, একজন মার্ক্সবাদী ও"কমরেড কমলা হ্যারিস বলে অভিহিত করেছিলেন।

ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক উইলিয়াম রোজেনবার্গ বলেন, ‘হ্যারিসের প্রতি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আক্রমণ মূলত তার হতাশার বহিঃপ্রকাশ। কমলা হ্যারিসের দ্বিজাতিগত পরিচয় তুলে ধরে তার প্রতি করা কটাক্ষ ট্রাম্পের জাতিগত বিদ্বেষকে আরো তীব্র করে সবার সামনে তুলে ধরেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্পের রাগ ও তার কথাগুলো অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। তিনি এমন একটি পথ নিজের জন্য তৈরি করছেন, যা তার জন্য সমস্যা আরো বাড়াবে।’

পোলিং অ্যাগ্রিগেটর ওয়েবসাইট ‘ফাইভথার্টিএইট’-এর জরিপ বলছে, সাতটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে এর মধ্যে ছয়টিতে ট্রাম্পের চেয়ে হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছে ফাইভথার্টিএইট। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, হ্যারিস তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তহবিল সংগ্রহের দিক থেকে। তার প্রচারণা ক্যাম্প এ সপ্তাহে ফেডারেল ইলেকশন কমিশনকে জানিয়েছে, গত মাসে তারা ২০৪ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে, যেখানে ট্রাম্পের প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী গ্রুপ ৪৮ মিলিয়ন ডলারের কথা জানিয়েছিল।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: