যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে ‘তরমুজ’ বানিয়ে মাদক পাচার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ১৮:১৭

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

মাদকদ্রব্য পাচার করতে প্রায়ই নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে দেখা যায় মাদক পাচারকারীদের। কখনো পেটের মধ্যে, কখনো পায়ুপথে, আবার কখনো অস্ত্রোপচার করে ত্বকের নিচে লুকিয়েও মাদক পাচারের নজির আছে। আইনের চোখ ফাঁকি দিতে এসব কৌশলে নিয়মিত পরিবর্তন আনেন অপরাধীরা। সম্প্রতি মাদক পাচারের ভিন্নধর্মী একটি নজির মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো সীমান্তে অভিযান চালায় আমেরিকান শুল্ক ও সীমান্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা। সন্দেহভাজন একটি তরমুজের ট্রাকে তল্লাশি করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ট্রাকে থাকা কিছু তরমুজ কাটার পর ভেতরে পাওয়া যায় উচ্চ মূল্যের মাদক মেথামফেটামিন। তবে এসব তরমুজ কাগজ দিয়ে বানানো। কাগজের ওপর তরমুজের খোসার মতো রং করে তৈরি করা মোড়কে ভরে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করা হচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ট্রাকে যে পরিমাণ মেথামফেটামিন পাওয়া গেছে তার অর্থমূল্য ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৬০ কোটি টাকা)। ১৬ আগস্ট এসব মাদক জব্দ করা হয়। ট্রাক থেকে আসল তরমুজের মধ্য থেকে ১ হাজার ২২০টি তরমুজের আদলে তৈরি মোড়ক উদ্ধার করা হয়। এসব মোড়ক থেকে ৪ হাজার ৫৮৭ পাউন্ড বা ২ হাজার ৮০ কেজি মেথামফেটামিন উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাকচালককে সীমান্তের অপরাধ তদন্ত সংস্থা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনসে সোপর্দ করা হয়েছে।

মেথামফেটামিন মূলত ক্রিস্টাল মেথ নামে বেশি পরিচিত। শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এই মাদক। এটি দেখতে চকচকে নীল-সাদা শিলাখণ্ডের মতো। এ মাদক ব্যবহারের ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, দাঁতক্ষয় ও স্থায়ী হ্যালুসিনেশনসহ নানা ধরনের জটিল শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: