সম্মেলনমঞ্চে ট্রাম্পের চেয়ে নিজেকে তরুণ দাবি করলেন বিল ক্লিনটন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২২ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চে দেওয়া ভাষণে বয়স নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়েছেন বিল ক্লিনটন। মজা করে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো ট্রাম্পের চেয়ে তরুণ।’

বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প—দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট। প্রথমজন ডেমোক্রেটিক পার্টির। আর দ্বিতীয়জন রিপাবলিকান। মজার বিষয়, দুজনই সমবয়সী। ১৯৪৬ সালে জন্ম। সেই হিসাবে দুজনের ৭৮ বছর চলছে।

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিল ক্লিনটন। আর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে আবারও লড়ছেন তিনি।

এবার নিয়ে ১২ বার ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দিলেন বিল ক্লিনটন। ১৯৮০ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে প্রথমবার দলীয় সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি। এরও এক যুগ পর ক্লিনটন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিজয়ী হলে তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান ক্লিনটন। ট্রাম্পের প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁকে (ট্রাম্প) অন্য দেশগুলোও ভালোভাবে দেখেনি।

ট্রাম্পের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বিল ক্লিনটন বলেন, তিনি (ট্রাম্প) নিজেই ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন’, নিজেই তা ‘কমিয়ে আনেন’।

এবারের নির্বাচন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের ‘অতি আত্মবিশ্বাসী’ না হতেও সতর্ক করে দিয়েছেন বিল ক্লিনটন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া কমলা হ্যারিস বেশ ভালো করছেন। তাই আমরা সবাই বেশ খুশি। তবে কখনোই আপনার প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখা উচিত হবে না।’

নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের ‘অতি আত্মবিশ্বাসী’ না হয়ে প্রতিপক্ষের মতামতকে ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে’ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন দুবারের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

কমলা হ্যারিসের রানিং মেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী) হিসেবে টিম ওয়ালজের প্রশংসা করেছেন বিল ক্লিনটন। তিনি বলেন, ‘টিম ওয়ালজ আজীবন বন্দুক নিয়ে কৌতূহলী। প্রাণঘাতী অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস রয়েছে তাঁর।’

টিম ওয়ালজকে রানিং মেট মনোনীত করার পর থেকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন কমলা হ্যারিস। তাঁর উদ্দেশ্য, টিমের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ‘সিদ্ধান্তহীন’ ভোটারদের পক্ষে টানা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: