পরমাণু ক্ষমতায় বাড়াচ্ছে চীন। সে কথা মাথায় রেখে, বিশেষ পরমাণু প্রকল্পে সই করেছেন বাইডেন। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে একটি অতি গোপন নথিতে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়. চীনকেন্দ্রিক পরমাণু প্রকল্পের কথা বলা আছে সেই নথিতে। শুধু চীন নয়, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে ওই নথিতে। বলা হয়েছে, ওই দুই দেশ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পরমাণু আক্রমণ হতে পারে। তা প্রতিহত করার জন্যই এই নতুন প্রকল্প।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, গত মার্চ মাসে ওই নথিতে সই হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ওই নথি জনসমক্ষে আনেনি। কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। তবে ২০২৫ সালে বাইডেন অফিস ছাড়ার আগে তা কংগ্রেসকে জানানো হবে।
তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন মানতে চাননি কর্মকর্তারা।
আমেরিকার অস্ত্রবিষয়ক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ২০২২ সালে দেশের পরমাণু পরিকল্পনা নিয়ে বাইডেন সরকার যে অবস্থান ঘোষণা করেছিল, তা বদলেছে বলে তারা মনে করে না। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অবস্থান বরাবরই রাশিয়াকেন্দ্রিক ছিল, এখনো তার পরিবর্তন হয়নি বলেই তারা মনে করেন।
হোয়াইটের মুখপাত্র সিয়ান স্যাভেটকে নির্দিষ্ট করে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, 'গত চারটি সরকারের মতো এই সরকারও একটি পরমাণু গাইডেন্স এবং এমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক নথি প্রকাশ করেছে। এটি নতুন কিছু নয়।'
তার বক্তব্য, পুরো নথি প্রকাশ হয়নি, কারণ, কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে। তবে তা বাইরে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের প্রসঙ্গ বলা হয়নি। সার্বিক রূপরেখার কথা বলা হয়েছে।
কর্মকর্তারা যা-ই বলুন, চীন নিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন সব বিশেষজ্ঞ। অস্ত্র বিষয়ক সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড্যারিল কিম্বল বলেছেন, যুক্তরাস্ট্রের ধারণা, গত কয়েক বছরে চীন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা তা পাঁচ শ থেকে এক হাজারে নিয়ে যাবে। রাশিয়ার অস্ত্রাগারে প্রায় চার হাজার পরমাণু অস্ত্র আছে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু প্রকল্পের অভিমুখ পরিবর্তন করতে চাইছে।
আমেরিকান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্টে স্পষ্ট করেছে যে, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত চীন তাদের সামরিক শক্তি বাড়াবে। রাশিয়ার সঙ্গে তারা আরো বেশি সমন্বয় তৈরি করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: