অবশেষে সিনেটেও পাস হলো ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর বিল। এর আগে কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি পাস হয়। এর মাধ্যমে ঋণখেলাপির হাত থেকে বাঁচলো সরকার।
জানা গেছে, দুই কক্ষেই বিলটি পাস হওয়ায় এটি এখন প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। তার সইয়ের পর এটি আইনে পরিণত হবে। খবর সিএনএনের।
করোনা মহামারির পরে সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মন্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা (ডেবট সিলিং) বাড়ানোর প্রস্তাব আনেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করে রিপাবলিকানরা।
এই বিল পাস না হলে বা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা না বাড়ালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণখেলাপি হতো।
এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বহু আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। পরে বিলটিকে বাইপারটিসান করার প্রস্তাব দেন বাইডেন। অর্থাৎ, রিপাবলিকান স্পিকার ম্যাকার্থি এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট একত্রে বিলটি প্রস্তাব করেন কংগ্রেসে। শেষপর্যন্ত বিলটি পেশ করা হয় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। আশঙ্কা ছিল, বিলটির প্রবল বিরোধিতা হতে পারে। কিন্তু সেই শঙ্কা সত্যি হয়নি। বিপুল ভোটেই পাস হয়েছে সেখানে। এবার সিনেটেও একইভাবে আশার মুখ দেখালো বিলটি।
এর আগে জাপানে জি৭ বৈঠকের পরেই দেশে ফিরে আসেন জো বাইডেন। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া সফর ও সেখানে অনুষ্ঠিতব্য কোয়াড জোটের বৈঠক বাতিল করতে হয়েছে তাকে। মূলত ঋণ সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের খেলাপি হওয়া ঠেকাতেই সফর কাটছাঁট করে স্বদেশে ফিরতে হয় প্রেসিডেন্টকে।
সূত্র : সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: