বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আলোচ্য বিষয়ে যা অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খুব শিগগিরই বাড়তি সুদের হার না কমলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে প্রচারণা জমে উঠতে শুরু করেছে। এমন সময়েই আলোচনায় উঠে এসেছে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদ হারের মত বিষয়গুলো।
তবে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কিছুটা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে ইতিবাচক ফল আসছে।
ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের দিকে নেমে আসছে। গেলো জুনে দেশে ব্যক্তিগত ভোগব্যয় সূচক বা পিসিই দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, মে মাসেও যেটি ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদহারের চাপের মধ্যে প্রবৃদ্ধির এ হারকে সন্তোষজনক বলছেন বিশ্লেষকরা।
ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদ বাড়ানোর পরও আশা করেছিল, অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে না। তাদের সেই আশা অনেকাংশে পূর্ণ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি রোধে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।
যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রর নীতি সুদ হার বিশ্ব অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলে তাই খুব শিগগিরই এটি না কমলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব থাকবে। এমনটাই সিএনএনকে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: