ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ‘জরুরি নন’, এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট করে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘প্রথমেই বলছি, বাংলাদেশে চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আগেই আমাদের উদ্বেগের কথা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি। ঢাকায় আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব বিকল্প পর্যালোচনা করছি। সেখানকার দূতাবাসের জরুরি নন, এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় সে দেশ ত্যাগ করার বিষয়টি আমরা অনুমোদন করেছি।’
ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কনস্যুলার ও অন্যান্য সেবা দিতে দূতাবাস খোলা রয়েছে। যেকোনো নাগরিককে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়া আমাদের কাছে অবশ্যই প্রথম অগ্রাধিকারের বিষয়। যেকোনো ই তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত, উদ্বিগ্ন; তাঁদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমরা উৎসাহিত করছি।’
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পুরোদমে চালু আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, এটা চালু আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: