টেক্সাসে প্রবল শক্তিশালী হারিকেন বেরিল আঘাত হেনেছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে টেক্সাসের জনজীবন। ভয়াবহ এই ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঝড়ে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া হিউস্টনের বৃহত্তম বিমানবন্দর থেকে ১৩০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসে আঘাত হানে এবং প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। সোমবার সকালে হারিকেনটি ক্যাটাগরি ওয়ান থেকে ধীরে ধীরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে ধ্বংসাত্মক বাতাস, ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি এবং ‘জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী’ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
টেক্সাসের গভর্নরের কার্যালয় বাসিন্দাদের এই ঝড়কে অবমূল্যায়ন না করার জন্য সতর্ক করেছে। কয়েক দিন আগে বেরিল ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আঘাত হানে, যেখানে কমপক্ষে ১০ জন প্রাণ হারান।
টেক্সাসে ঝড়ের সময় ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বিদ্যুতের লাইনের ধাক্কায় মারা গেছেন। একই কাউন্টিতে ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা বাড়ির ছাদে গাছ ভেঙে পড়ার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
হিউস্টনের শহরতলিতে পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। হিউস্টন একটি নিচু উপকূলীয় শহর হওয়ায় বন্যার ঝুঁকি বেশি। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ মাইল এবং ঝোড়ো বাতাসের গতিসীমা ৮৭ মাইল পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
পাওয়ারআউটেজ.ইউএস-এর তথ্য মতে, টেক্সাসের ২৭ লাখেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছেন। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার.কম-এর তথ্য অনুসারে, বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিমানবন্দরে ১ হাজার ৯৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ঝড়টি হিউস্টন অতিক্রম করার সময় টেক্সাসের বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে টর্নেডো সতর্কতা জারি করা হয়। এখন ঝড়টি শক্তি হারিয়ে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে, তবে ভারী বর্ষণ এবং আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: