উগান্ডায় সমকামীবিরোধী কঠোর আইন

ভিসা নিষেধাজ্ঞা হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩০ মে ২০২৩ ১৯:৩৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

সমকামিতার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কঠোর আইন পাস হয়েছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউরি মুসাভেনি ২৮ মে, রোববার এ আইনটি সই করেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এমন আইন চালু হওয়ায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অপরদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন সমকামীবিরোধী আইন বাস্তবায়নের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ বিবেচনা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২৯ মে, সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উগান্ডার কর্মকর্তাদের এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের অপব্যবহারের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উগান্ডা ভ্রমণের বিষয়ে দেশের নাগরিক এবং ব্যবসায়িকদের ভ্রমণ নির্দেশিকা আপডেট করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উগান্ডার আইনের নিন্দা ও হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে জো বাইডেন, উগান্ডার নতুন সমকামিতা বিরোধী আইন অবিলম্বে বাতিল করার আহ্বান জানান। এই আইনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো প্রভাব পড়বে কি না সেটিরও মূল্যায়ন করা হবে।

বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, 'এই লজ্জাজনক আইনটি উগান্ডায় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির উদ্বেগজনক প্রবণতার সর্বশেষ বিকাশ। এটি আমাদের সরকারী কর্মী, আমাদের অংশীদারদের কর্মী, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্যসহ উগান্ডায় বসবাসকারী প্রত্যেকের জন্য হুমকিস্বরূপ।'

প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সাথে জড়িত কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ অতিরিক্ত পদক্ষেপ বিবেচনা করছি।

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন করেছে উগান্ডা। ২৯ মে, সোমবার এই আইনে স্বাক্ষর করেন আফ্রিকান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউরি মুসাভেনি। খবরে বলা হয়েছে, সমকামিতায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে শাস্তি হিসেবে। এর পাশাপাশি সমকামিতার প্রচারণা চালানো হলে ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।

আইনটিতে স্বাক্ষরের সময় উগান্ডার প্রেসিডেন্ট বলেন, সমকামিতা প্রকৃতি বিরুদ্ধ একটি চর্চা। এটি আফ্রিকার সংস্কৃতিবিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান মুসাভেনি। পশ্চিমা চাপ, নিষেধাজ্ঞার ভয়-ভীতি সত্ত্বেও আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে নিষিদ্ধ সমকামিতা।

 

সূত্র: রয়টার্স ও ইয়াহু নিউজ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: