বেকারত্ব নিয়ে বিতর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বাইডেন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ জুন ২০২৪ ২০:১৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের আগে আগে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) স্থানীয় সময় রাতে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা) এ বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিতর্কে কালো বা আফ্রিকান আমেরিকাদের বেকারত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের সময়ে বেকারত্ব সবচেয়ে কমেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে তার এ দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাদ্যম।

শুক্রবার সকালে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আমেরিকানদের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে।

সংবাদমাধ্যমটি  জানিয়েছে, বাইডেনের এমন দাবি সত্য নয়। দীর্ঘ সময় ধরে বেকারত্বের হার সর্বনিম্ন নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালো বা আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে রেকারত্বের হার ২০২৪ সালের মে মাসে ছিল ছয় দশমিক এক শতাংশ। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে এ হার চার দশমিক আট শতাংশে নেমে এসেছিল।

জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুটি মুখোমুখি বিতর্কের বিষয়ে একমত হয়েছেন বাইডেন ও ট্রাম্প। দুটি বিতর্কের আয়োজক ও এবিসি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের উদ্যোগে অস্ত্র ও বাজেট-সহায়তা হিসেবে কিয়েভের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেস। তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও মূল্যস্ফীতি ফিরে আসবে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন ১৬ জন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তারা। গত মঙ্গলবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে ওই অর্থনীতিবিদরা বলেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জিতলে তিনি ‘আর্থিকভাবে দায়িত্বহীন বাজেটের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা উসকে দিতে ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে পারেন।

অর্থনীতিবিদরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বর্তমান বাইডেনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, কভিড-১৯ মহামারির পর থেকে শ্রমবাজারের পুনরুত্থান উল্লেখ করার মতো দৃঢ় ও যথাযথ হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদরা বলেন, ‘যদিও অনেক অর্থনৈতিক নীতির সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের আলাদা মতো রয়েছে, কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা একমত যে, ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি অনেক ভালো।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: