টেক্সাসে ফিলিস্তিনি শিশুকে ডুবিয়ে হত্যাচেষ্টা নারীর

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৪ জুন ২০২৪ ১৭:৫২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স পুলে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা শিশুকে ডুবিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এক নারীর বিরুদ্ধে। মায়ের ফিলিস্তিনি পরিচয় জানার পর শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে মারার চেষ্টা চালান ওই নারী।

এ বিষয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ৪২ বছর বয়সী অভিযুক্ত নারীর নাম এলিজাবেথ উলফ। টেক্সাসের পুলিশ তাঁকে শিশু হত্যার চেষ্টা এবং আঘাতের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। গত ১৯ মে সংঘটিত ওই ঘটনায় ২১জুন, শুক্রবার একটি ঘৃণাত্মক অপরাধের (হেট ক্রাইম) তদন্ত দাবি করেছে আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) টেক্সাস শাখা।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ঘটনার দিন শিশুটির মা একটি হিজাব পরিধান করে বাচ্চাদের নিয়ে পুলে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁকে ধর্ম ও জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ নারী উলফ। পরিচয় পেয়েই পুলে থাকা মুসলিম নারীর দুই সন্তানের ওপর চড়াও হন তিনি।

তবে ওই ঘটনার দিন উলফকে আটক করা হলেও পরদিনই তিনি জামিনের বন্ডে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিএআইআরকে ফিলিস্তিনি ওই মা বলেছিলেন, ‘আমরা আমেরিকার নাগরিক হলেও মূলত ফিলিস্তিনের। আমি জানি না, বাচ্চাদের নিয়ে নিরাপদে থাকার জন্য কোথায় যেতে হবে। আমার দেশ একটি যুদ্ধের সম্মুখীন এবং আমরা এখানে সেই ঘৃণার মুখোমুখি হচ্ছি।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছিল, ঘটনার সময় উলফ অত্যন্ত নেশাগ্রস্ত ছিলেন। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে আটক করা হয়। তবে সেই সময় তাঁকে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।

আক্রান্ত শিশুটির মা পুলিশকে তখন জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনি পরিচয় পেয়ে প্রথমে তাঁর ৬ বছর বয়সী ছেলেকে ধরার চেষ্টা করের উলফ। তবে ছেলেটি উলফের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে আসলেও তার হাতে আঁচড় লাগে। এ সময় ছেলেটি ছিটকে যাওয়ার পর তিন বছরের মেয়েটির দিকে চড়াও হন উলফ। মেয়েটিকে তিনি পানির নিচে চেপে ধরেছিলেন।

সিএআইআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে—ঘটনার পর আক্রান্ত মেয়েটি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দরজার আওয়াজ পেলেই সে লুকিয়ে পড়ে, আর ভাবে ওই নারী এসে তাকে আবারও পানিতে ডুবিয়ে দেবেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: