প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রচারাভিযানে ব্যয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহে ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই তহবিলে হাওয়া লাগে মূলত সম্প্রতি ৩৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর। এরই মধ্যে এক ধনকুরেরই তার প্রচারণা ফান্ডে দান করেছেন ৫০ মিলিয়ন ডলার। ফলে তহবিল সংগ্রহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার ব্যবধান কমে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, কার ফান্ডে কত টাকা জমা পড়েছে, তা জানা যাবে আগামী মাসে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস’র।
গত মে মাসে দেওয়া হিসাবে ৮১ মিলিয়ন ডলার অনুদান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন ট্রাম্প। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আর্থিক সহায়তা বেড়ে যায় ট্রাম্পের। এতে ছাড়িয়ে যান বাইডেনকে। সেসময় বাইডেনের প্রচারাভিযান ও ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি যৌথভাবে ৮৫ মিলিয়ন সংগ্রহ করে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প ও রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সংগ্রহে থাকে ১৪১ মিলিয়ন। তবে বাইডেনের প্রচারদল বলছে, চলতি জুনে দল ও বাইডেনের যৌথভাবে তহবিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১২ মিলিয়ন ডলার।
গত বৃহস্পতিবার ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত আংশিক তথ্যে দেখা যায়, দলের সঙ্গে ট্রাম্প যৌথভাবে অন্তত ১৭০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন। সামগ্রিকভাবে, গত এপ্রিলের শুরুতে বাইডেনের সংগ্রহের চেয়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু দুই মাসে তিনি সেই নগদ ঘাটতি অর্ধেক কমিয়ে ফেলেছেন। উভয় পক্ষের অর্থের সম্পূর্ণ হিসাব আগামী মাসে ফেডারেল ফাইলিংয়ে প্রকাশ করা হবে। তবে ট্রাম্পের তহবিল সংগ্রহ এবং এই বসন্তে বিজ্ঞাপনে বাইডেনের বড় ব্যয়ের কারণে দুই পক্ষের সংগ্রহ প্রায় সমান হবে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে, টিমোথি মেলন নামের এক ধনকুবের ট্রাম্পকে একাই দিয়েছেন ৫০ মিলিয়ন ডলার। ৩৪টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেরদিনই তিনি এই অর্থ দান করেন। এটি এখন পর্যন্ত একক সবচেয়ে বড় অনুদান। আর বাইডেনকে প্রায় ২০ মিলিয়ন দান করেছেন নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইকেল আর. ব্লুমবার্গ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: