আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবার ভোটে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই থাকছেন। আর রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কারা হচ্ছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী? বাইডেন ও ট্রাম্পের রানিংমেট কারা হচ্ছেন, তাই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। চলতি বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেই রানিংমেট হিসাবে রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে কমলা হ্যারিসকে পরিবর্তন করা হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুনর্র্নিবাচিত হলে আগামী চার বছরের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকছেন। তবে আগামী মাসে রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে দলটির চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষিত হবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই কনভেনশনের আগে বা সেদিনই নিজের রানিংমেট ঘোষণা করবেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের পছন্দ অনুযায়ীই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দেবে দল। আগেরবার নির্বাচনে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন মাইক পেন্স। এবার আর পেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেননা, গত নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়কে উল্টে দিতে কংগ্রেসে ইলেকটোরাল কলেজের আনুষ্ঠানিক ভোট গণনায় হস্তক্ষেপ করতে পেন্সকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু পেন্স তা অস্বীকার করায় ট্রাম্প ওপর ক্ষিপ্ত। ট্রাম্পের রানিংমেট বাছাইয়ের তালিকায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নারী কংগ্রেসম্যান এলিস স্টেফানিক, সিনেটর টিম স্কট, সেনেটর জেডি ভ্যান্স এবং নর্থ ডাকোটার গভর্নর ডগ বার্গাম। এরমধ্যে মার্কিন সিনেটে স্কট হচ্ছেন একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকান। তাকে বেছে নেওয়া হলে বর্ণ সমন্বয় ঘটবে, যাতে ভোটাররাও দ্বিধাবিভক্ত না হয়।
এ বিষয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সম্পর্কে দুটি বইয়ের লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেটন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ডিভাইন বলছেন, এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্প সংবিধানসহ অন্যান্য সমস্ত কিছুর ওপরে তার প্রতি অনুগত থাকবে, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন একজনকে খুঁজছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রচারই একজন ভাইস প্রেসিডেন্টের মূখ্য কাজ। ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় বর্ণ বা লিঙ্গ সমন্বয়, অভিজ্ঞতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রচার দক্ষতায় হটাতে পারেন, এমন কাউকেই বেছে নেওয়া হয়। ব্যালটে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পাশেই থাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সাধারণত খুব বেশি ক্ষমতা থাকে না। প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, পদত্যাগ বা বিদেশ সফরকালে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করেন একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া সিনেটে কোনো বিলে ভোটাভুটিতে দুই পক্ষে সমান ভোট হলে, নির্ধারণী ভোট দিয়ে থাকেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: