প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের কাছে চলমান গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। ৮ জুন শনিবার ‘রেড লাইন’ নামের এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহনশীলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম লেখা দীর্ঘ ব্যানার বহন করছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে দ্বিমুখী-নীতির জন্য সমালোচিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
গত মে মাসে হোয়াইট হাউস বলেছিল, রাফায় ইসরায়েলি হামলা ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেনি। এর দুই মাস আগে বাইডেন রাফায় ‘রেড লাইন’ অতিক্রম না করতে ইসায়েলকে সতর্ক করেছিলেন।
ভার্জিনিয়ার ২৫ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী জায়েদ মাহদাবি বলেন, “আমি বাইডেনের কোনও কথাই আর বিশ্বাস করি না। বাইডেনের ‘রেড লাইনের’ বিষয়টি তার ভণ্ডামি ও কাপুরুষতা।”
নার্সিং সহকারী তালা ম্যাককিনি (২৫) বলেন, “আমরা সবাই আশা করি এটি শিগগিরই বন্ধ হবে। তবে স্পষ্টত আমাদের প্রেসিডেন্ট দেশের সাথে যেসব কথা বলেছেন তা মেনে চলছেন না। এটা আপত্তিজনক।”
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সকলেই প্রায় লাল পোশাক পরেছিল। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি পতাকা। তাদের দাবি, বাইডেনের ‘রেড লাইন’ মিথ্যা এবং শিশুদের ওপর বোমা হামলা চালানো আত্মরক্ষা নয়।”
এদিকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর পাঁচ মাস বাকি। নির্বাচনে বাইডেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হচ্ছেন। মুসলিম ও তরুণ ভোটারদের কারণে চাপে রয়েছেন বাইডেন। তাই এবারের নির্বাচনকে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ম্যাককিনি বলেন, “এটি খুবই হতাশাজনক যে আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি কথা রাখেন না। আমি তৃতীয় পক্ষকে ভোট দিব।”
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: