স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেয়ার মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দেয়া নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন সমর্থকরা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ট্রাম্পের সাজা হলে একজন অপরাধীকে কখনো ভোট দেবেন না-এমনটি বলছেন অনেকে।
যৌন কেলেঙ্কারি গোপন রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই মামলায় ৩০ মে, বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। আদালতের দেয়া রায়ে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ কি হবে? এ নিয়েই এখন নানা জল্পনা কল্পনা চলছে।
ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়া নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ভোটাররা। শুধু সাধারণ ভোটাররাই যে ভাবছেন তা নয়, রিপাবলিকান দলের কর্মী-সমর্থকের মধ্যেও ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়া নিয়ে দেখা যাচ্ছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব।
রায়ের পর ট্রাম্পের দলের সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। সেখানেই ট্রাম্পকে সমর্থন করা নিয়ে দ্বিধা-বিভক্তির বিষয়টি উঠে আসে। যারা ট্রাম্পকেই সমর্থন করবেন বলেছিলেন তাদের অনেকে বলছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একজন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে কখনো সমর্থন দেবেন না। আবার অনেক সমর্থক বলেছেন, এসবই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
আগামী ১১ জুলাই এই মামলার আনুষ্ঠানিক রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। তাকে কী জেলে যেতে হবে, নাকি জরিমানা দিয়েই পার পাবেন এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
জেলে পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থিতার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন বিচারকরা, এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। তবে সাজা যাই হোক না কেনো আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার কিছুটা প্রভাব পড়বে এতে সন্দেহ নেই।
তবে কেবল ভোটের মাঠে প্রভাবের শঙ্কা নয় এরইমধ্যে কমে গেছে ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ। শুক্রবার তার একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যায়। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ নামের ওই কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: