মস্তিষ্কে নিউরোলিংকের চিপ জীবন বদলে দিয়েছে আরবাঘের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ মে ২০২৪ ১৮:৩৩

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠা করা নিউরোলিংকের চিপ প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয় নোল্যান্ড আরবাঘের মস্তিষ্কে। সম্প্রতি এই বিষয়ে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। দাবি করেছেন, নিউরোলিংক ব্যবহার তাঁর জীবনকে বদলে দিয়েছে।

এবিসি টেলিভিশনের ‘গুড মর্নিং আমেরিকাস’ অনুষ্ঠানে উইল রিভের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আরবাঘ দাবি করেন, শুধুমাত্র চিন্তার মধ্য দিয়েই তাঁকে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়েছে নিউরোলিংকের ডিভাইস।

আরবাঘ বলেন, ‘একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর মতো এখন আমি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে। আমি আগে এটি করার জন্য সক্ষম ছিলাম না।’

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরবাঘের মস্তিষ্কে নিউরোলিংক চিপ স্থাপন করা হয়েছিল। পরে আরবাঘ এই চিপের সাহায্যে তাঁর চিন্তার মাধ্যমে ভিডিও গেম এবং অনলাইন গেম খেলতে সক্ষম হন। যদিও প্রথম পরীক্ষায় এই প্রযুক্তির মধ্যে কিছু ত্রুটি শনাক্ত করেছিল নিউরোলিংক। পরে গত মার্চে আরবাঘের মস্তিষ্ক থেকে ওই চিপ আবারও সরিয়ে নেওয়া হয়।

নিউরোলিংকের পক্ষ থেকে সে সময় দাবি করা হয়, অস্ত্রোপচারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল। গত বুধবার একটি ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি জানায়, মস্তিষ্কে বসানো ওই ডিভাইস থেকে ডেটা গ্রহণের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। চিপের কয়েকটি থ্রেড প্রত্যাহার করে নেওয়া ফলে কিছু ডেটা হারিয়ে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে শুরুতে কিছু আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন আরবাঘ। তিনি ভয় পেয়েছিলেন এ জন্য যে, বদলে যাওয়া তাঁর জীবন আবার আগের মতো হয়ে যাবে।

নিউরোলিংক চিপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে আরবাঘ আশা করেন, এমন একটি দিন আসবে যখন মেরুদণ্ডের আঘাতপ্রাপ্ত মানুষ একেবারে অকেজো হয়ে যাবে না। আর সেই সময়টি সন্নিকটেই বলে দাবি করেন প্রথম নিউরো চিপ ব্যবহারকারী এই ব্যক্তি।

নোল্যান্ড আরবাঘের বিষয়ে জানা গেছে, তিনি আট বছর আগে ২০১৬ সালে একটি ‘ফ্রিক ডাইভিং দুর্ঘটনায়’ মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

উল্লেখ্য, নিউরোলিংক হলো ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত একটি ব্রেন টেকনোলজি স্টার্টআপ। এর চিপ একজন রোগীকে হাতের ব্যবহার ছাড়াই শুধু চিন্তা দিয়ে একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা প্রদান করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: