ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন বর্জন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১২ মে ২০২৪ ১৯:২১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তাদের অভিযোগ গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তা করায় শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টে দেখা গেছে যে, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্বববিদ্যালয়ের (ভিসিইউ) শিক্ষার্থীরা গাউন ও টুপি পরা অবস্থায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কক্ষ থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন তখন সমাবর্তন অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছিলেন যিনি এর আগেও শিক্ষার্থীদের চলমান বিক্ষোভ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন।

বস্তুত, ইয়ংকিনকে সমাবর্তনের বক্তা করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।

কারণ তিনি গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন।

এছাড়া ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন বর্ণবাদ বিষয়ক একটি পাঠ্যক্রম চালু করার কথা ভাবছিল, তখন সেটির বিরোধিতা করার কারণেও ইয়ংকিন সমালোচিত হয়েছিলেন।

অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে স্লোগান দিতে দেখা গেছে, যেখানে তারা বলছেন যে, ‘প্রকাশ কর, সরে যাও। আমরা থামব না, আমরা বিশ্রাম নেব না।’

ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন বর্জন করেছেন, তাদের একজন হচ্ছেন শিরিন হাদাদ।

শনিবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন যে, সমাবর্তনের স্বাগত বক্তব্য শুরু করার পর বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা এত জোরে তালি বাজাতে শুরু করেন যে, অন্যরা ইয়ংকিনের কোনো কথাই শুনতে পাচ্ছিলেন না।

এরপর অন্তত ১৫০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে সমাবর্তন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান বলেও জানান হাদাদ।

তাতে অবশ্য ইয়ংকিন তার স্বাগত বক্তব্য থামাননি।

অনুষ্ঠান শেষে তিনি সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন।

তবে শিক্ষার্থীরা যেভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন, সে বিষয়ে তাকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি।

হিসাব করে দেখো যে, দেশটিতে কমপক্ষে ১৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।

ইসরাইলের সঙ্গে থাকা আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছেন।

এর মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্তত ছয় জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: