ইরান যদি ইসরাইল আক্রমণে সফল হয়, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রও সেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। নিবন্ধে বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হিসেবেও আখ্যা দেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত ও নিবন্ধে বাইডেন মূলত আইনপ্রণেতাদের ইসরাইল এবং ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বিল পাশের বিষয়টির পক্ষে টানার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, এখন বন্ধুদের পরিত্যাগ করার সময় নয়। হাউসকে (কংগ্রেস) অবশ্যই ইউক্রেন ও ইসরাইলের জন্য জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তারও ব্যাপক প্রয়োজন।
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাত প্রসঙ্গে বাইডেন ওই নিবন্ধে লেখেন, ইরান যদি ইসরাইলের ওপর তার আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সফল হয়, তা হলে যুক্তরাষ্ট্রও তাতে জড়িয়ে যেতে পারে। ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার— এমনটি ভাবাই যায় না যে, যদি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে যায়, তবে আমরা এর পাশে দাঁড়াব না।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইসরাইল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এটা পরিষ্কার যে ইসরাইলিরা প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করছি, তারা এই প্রতিশোধ এমনভাবে নেবে, যাতে উত্তেজনা বেশি না বাড়ে।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরাইলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।
জবাবে গত শনিবার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: