ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক কোনো অভিযানে সাথে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র। রোববার একটি টেলিভিশন টক শোতে এসে এমনই বার্তা দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জন কিরবি।
জন কিরবি বলেন, বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে চান তারা। তিনি বলেন, তেল আবিবের প্রতি তাদের সমর্থন অটুট থাকবে, তবে এ অঞ্চল সংঘাত বৃদ্ধি পাবে এমন কোনো কিছুতে তারা সমর্থন দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। তিনি জানান, নেতানিয়াহু প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট করা হয়েছে বিষয়টি। ইরানের কাছেও পাঠানো হয়েছে একই বার্তা।
তিনি বলেন ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের উত্তেজনা আর বৃদ্ধি পাক সেটা চান না প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ইস্যুতে শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় জোর দিচ্ছেন তিনি।
শনিবার দিবাগত রাতে কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরাইলের ভূখন্ডে নজিরবিহীন হামলা চালানোর ইস্যুতে জন কির্বি বাইডেনের এই মনোভাবের কথা জানান। কিরবি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন না যে, ইসরাইলের ওপর ইরানের চালানো হামলা একটা পুরোদস্তুর যুদ্ধে গড়ানোর কোনও কারণ আছে।
অনুষ্ঠানে কিরবির কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই সংঘাত আগামীতে আরও তীব্র আকার নেবে, সেই আশঙ্কা কতটা? জবাবে তিনি বলেন, যাই ঘটুক না কেন, প্রেসিডেন্ট আদৌ মনে করেন না বিষয়টা তীব্রতার দিকে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের অবস্থান এ ব্যাপারে খুব স্পষ্ট। তিনি চান না, এই সংঘাত আরও তীব্র আকার নিক। পরবর্তী কয়েক দিনে তাদের কাছে আরও অনেক কিছু স্পষ্ট হবে।
ইরানের হামলায় অতি সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে, ইসরাইল যেভাবে এই হামলাকে প্রতিহত করেছে, তাদের সেই ‘আত্মরক্ষার ক্ষমতার’ ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন বলে জানান জন কিরবি ।
এদিকে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের সরাসরি এবং নজিরবিহীন হামলার কঠোর ভাষায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন জি৭ এর নেতৃবৃন্দ । বিবৃতিতে তারা ইসরাইল ও দেশটির জনগণের প্রতি তাদের পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেন এবং ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: