ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা যদি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাদের ওপর আরোপিত ‘সন্ত্রাসী’ তকমা তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত টিম লেন্ডারকিং এ কথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, আশা করছি, উত্তেজনা প্রশমিত করার উপায় খুঁজে পেতে, ঘটনাক্রমে (সন্ত্রাসী) তকমা প্রত্যাহার করতে এবং অবশ্যই হুথিদের সামরিক সক্ষমতার ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য আমরা একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে পাবো।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের ভাষ্যমতে, ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন মাস ধরে বিমান হামলার পর ওয়াশিংটন যে ফের কূটনীতির দিকে ঝুঁকেছে, লেন্ডারকিংয়ের এই মন্তব্যই তার প্রমাণ। মার্কিন বাহিনী বাণিজ্যিক ও যুদ্ধজাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা হুথিদের সামরিক সক্ষমতা কমাতে সক্ষম হয়েছে।
গত জানুয়ারির মাঝামাঝি পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা দেয়, তারা আনসারুল্লাহকে (যারা হুথি হিসেবে পরিচিত) বিশেষভাবে মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তাদের জাহাজে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ হামলা শুরুর ঠিক পরেই এটি করা হয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
তাদের হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে পরিবহনের সময়ও।
এই আক্রমণের জবাবে ইয়েমেনে হুথিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে তাতে হুথিদের আক্রমণ বন্ধ হয়নি।
ইয়েমেনি গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা হামলা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। গত মাসে একটি পণ্যবাহী জাহাজের তিন ক্রুকে হত্যা এবং অন্য একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল হুথিরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: