দুই মুসলিম নারীর দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তির জন্য সাড়ে ১৭ মিলিয়ন বা এক কোটি ৭৫ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটি। মামলায় ওই নারীরা অভিযোগ করেছিল, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে তাদের হিজাব অপসারণে বাধ্য করেছিল, যার মাধ্যমে তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। খবর রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালে জামিলা ক্লার্ক ও আরওয়া আজিজ নামের দুই মুসলিম নারী ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ৫ এপ্রিল, শুক্রবার সে মামলার রায় দেওয়া হয়। তবে এতে বিচারক অ্যানালিসা টরেসের অনুমতি প্রয়োজন হবে।
মামলার রায় দেওয়ার পর জামিলা ক্লার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, যখন তারা আমাকে আমার হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল, তখন আমার মনে হয়েছিল, যেন আমি নগ্ন। আমি নিশ্চিত নই, এই শব্দগুলো বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হচ্ছে কিনা যে, আমি নিজেকে কতটা উন্মুক্ত মনে করেছি। আজ এ কারণেই আমি খুব গর্বিত যে হাজার হাজার নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পেরেছি।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে পুলিশ বিভাগ হিজাবের ব্যাপারে নীতি পরিবর্তন করে। নতুন নীতিতে বলা হয়, যতক্ষণ হিজাব মুখের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বাধা না দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এইসব ধর্মীয় পোশাক পরিধানের অনুমতি দেওয়া হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে শহরের আইন বিভাগের মুখপাত্র নিকোলাস পাওলুচি বলেছেন, এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগে একটি ইতিবাচক সংস্কার হয়েছে। এর ফলে কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগকারীকে তার জরুরি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে।
মামলার রায়ে যে সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলারের কথা বলা হয়েছে, তা থেকে প্রশাসনিক খরচ ও আইনজীবীদের ফি কেটে নেওয়ার পর ১৩ মিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট থাকবে। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: