নিজেকে আধুনিক যুগের ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করলেন ট্রাম্প

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেলসন ম্যান্ডেলা : সংগৃহীত ছবি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেলসন ম্যান্ডেলা : সংগৃহীত ছবি

নানা ধরনের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে প্রায় শতাধিক মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করার জন্যও তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করায় তার সামনে ঝুলছে কারাদণ্ডের সাজা।

এ বিষয়টিকে তিনি তুলনা করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত বর্ণবাদবিরোধী নেতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নেলসন ম্যান্ডেলার কারাগারে কাটানোর সময়ের সঙ্গে। আর নিজেকে তুলনা করছেন আধুনিক যুগের ম্যান্ডেলার সঙ্গে। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর সিএনএন।

৬ এপ্রিল, শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে জানান, মামলার বিষয়ে মন্তব্য করা বিষয়ক গ্যাগ অর্ডার লঙ্ঘনের কারণে তার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টিকে তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর ফলে আমি আনন্দের সঙ্গে আধুনিক দিনের নেলসন ম্যান্ডেলা হয়ে উঠব। এটি হবে আমার জন্য এক মহান সম্মান।

ট্রাম্প তার একটি মামলার বিচারক নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জুয়ান মার্চানকে আক্রমণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। তাতে তিনি লেখেন, এখন আমাদের মার্চান আছে, যিনি আমাকে কথা বলতে দিচ্ছেন না, যার ফলে নাকি আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে।

তিনি বিচারকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই মামলার জন্য তাকে কীভাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল? তার অভিযোগে, মার্চানের মেয়ে ডেমোক্র্যাটিক দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হওয়ায় তিনি বিচারে পক্ষপাত বন্ধ রাখতে পারেননি।

এছাড়া তাকে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় ৪৬০ মিলিয়নের বেশি অর্থ জরিমানা হিসেবে দেওয়ার আদেশ দেওয়া বিচারক আর্থার এনগোরনফোরেরও সমালোচনা করেন তিনি।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, গত বছরের আগস্টেও ট্রাম্প নিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নাগরিক অধিকারের আইকন নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে নিজের তুলনা করেছিলেন। নিজেকে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার দাবি করে করে তিনি বলেন, আমার নেলসন ম্যান্ডেলা হতেও কোনো আপত্তি নেই। কারণ এসবের পেছনে আমার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এর আগে একবার নিজেকে অত্যাচারিত-নিপীড়িত উল্লেখ করে যিশু খ্রিষ্টের সঙ্গেও নিজের তুলনা টেনেছিলেন।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা। পরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মিলিয়ে প্রায় ১০০ মামলা রয়েছে। যেগুলো বেশ কিছুতে এরই মধ্যে তার দোষ প্রমাণিত হয়েছে। জরিমানাও প্রদান করেছেন। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্যের ভুল ব্যবস্থাপনা এবং ২০২০ সালের নির্বাচনকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টার মতো অভিযোগ রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: