প্রাইমারি ইলেকশনে ৪ স্টেটে বাইডেন-ট্রাম্পের জয়

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪১

ডেমক্র্যাট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প : সংগৃহীত ছবি ডেমক্র্যাট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প : সংগৃহীত ছবি

নিউইয়র্ক, রোড আইল্যান্ড, কানেকটিকাট এবং উইসকনসিন স্টেটে ২ এপ্রিল দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে (প্রাইমারি ইলেকশন) বিজয় ঘটায় ডেমক্র্যাট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থীতা প্রায় নিশ্চিত। এখন আসছে জুলাইতে উইসকনসিনের মিলওয়ার্কিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন এবং আগস্টে ইলিনয় স্টেটের শিকাগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সম্মেলনে দলীয় ডেলিগেটদের ভোটে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

উল্লেখ্য, বয়সের কারণে জো বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের সাথে বেমানান মন্তব্য/আচরণের কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অধিকাংশ আমেরিকানই পছন্দ না করলেও দলীয় ভোটাররা এখন পর্যন্ত বিকল্প কিছু নির্বাচনী ময়দানে হাজির করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত এ দু’জনের একজনকেই বেছে নিতে হবে পরবর্তী চার বছরের জন্য।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের নির্বাচনেও এ দু’জনই ছিলেন মূল প্রার্থী। মঙ্গলবারের প্রাইমারি ব্যালটে আরও কয়েকজনের নাম ছিল। তবে তারা প্রার্থী হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলে ভোটারের সমর্থন লাভে সক্ষম হননি।

এদিকে, প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে অভিনব এক প্রতিবাদ উত্থাপিত হয়। গাজা পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করতে চরম ব্যর্থতা এবং ইসরায়েলকে গণহত্যায় অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখায় বাইডেনকে ভোট প্রদানে বিরত থাকার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির সমর্থনে ব্যালট একেবারেই সাদা রাখা হয়। নিউইয়র্কে বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকেই এমন সাদা ব্যালট স্ক্যানের ঘটনা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা নাগাদ। ডেমক্র্যাটিক পার্টির তালিকাভুক্ত ভোটারের পাশাপাশি রিপাবলিকান ভোটারেরও কিছু অংশ একই পন্থা অবলম্বন করেছেন।

নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস এলাকার একটি কেন্দ্রের স্ক্যানার ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশি আমেরিকান নুরুন্নাহার নিশা এ সংবাদদাতাকে জানান, শুধু মুসলমান নন শ্বেতাঙ্গ এবং স্প্যানিশ ভোটারের অনেকেই সাদা ব্যালট স্ক্যান করেছেন। গাজা পরিস্থিতিতে তারা ক্ষুব্ধ বাইডেনের প্রতি। আবার কেউ কেউ ব্যালট নিয়ে বাইরে গিয়ে বোর্ড অব ইলেকশন কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেদের ক্ষোভের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

নির্বাচন কেন্দ্রে কর্মী হিসেবে থাকা অনেকে মন্তব্য করেছেন, উভয় পার্টির প্রার্থীই যোগ্য বলে মনে করছি না বিধায় ভোট দানে বিরত থাকাই শ্রেয় ভাবছি। নিশা আরো বলেন, দিনভর বৃষ্টি থাকায় এমনিতেই উপস্থিতি ছিল আগের তুলনায় অনেক কম, তার মধ্যে গাজা ইস্যুতে প্রার্থীগণের ব্যাপারে বিরক্তির উদ্রেক ঘটলো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: