গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে ইসরায়েলকে সাহায্য করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি ও মানবিক সংকট হলে, বিশেষ করে রাফায় হাজার মানা করার পরেও অভিযান চালালে ক্ষুব্ধ হন বাইডেন। তা নিয়ে বারবার উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও ভেটো দেয়নি আমেরিকা। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পর্যন্ত ঠেকে। তবে জনসম্মুখে বাইডেন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলবিরোধী কথার ফুলঝুরি ছিটিয়ে গেলেও পর্দার আড়ালে ঘটে গেছে ভয়াবহ আরেক ঘটনা।
সম্প্রতি ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা ও যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন তথ্য ফাঁস করেছে।
যুগের পর যুগ ধরে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে বিশ্ব কূটনীতি—সব জায়গায় ইসরায়েলের ঢাল হিসেবে কাজ করে দেশটি। প্রতি বছর ইসরায়েলকে প্রায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ৩৮০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।গাজায় ভয়াবহ বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান ঘিরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এমনকি খোদ বাইডেন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা ইসরায়েলকে দেওয়া সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি করেছেন। এত কিছুর পরও পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলকে নতুন করে সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিল ওয়াশিংটন। এসবের মধ্যে রয়েছে এক হাজার ৮০০টি এমকে৮৪-২০০০ পাউন্ডের বোমা এবং ৫০০টি এমকে৮২ ৫০০ পাউন্ডের বোমা।
অবশ্য গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে একতরফা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা। বাইডেনের প্রশাসনের এমন একতরফা নীতির সমালোচনা করছেন কিছু ডেমোক্র্যাট ও আরব আমেরিকান গোষ্ঠী। ইসরায়েল ও এর সামরিক অভিযানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কারণে অনেক আরব আমেরিকান যে কষ্ট পাচ্ছেন তা শুক্রবার বাইডেন নিজেও স্বীকার করেছেন। এরপরও ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলে নতুন করে অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ ছাড়া ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: