বিকল্পধারার গণমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে এখনই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিলে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না, সেই নিশ্চয়তা যতদিন না পাচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে আইনি লড়াই চালানোর সুযোগ পাবেন বলে আদেশ দিয়েছেন লন্ডনের হাইকোর্ট।
২৬ মার্চ, মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।
৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। তার বিরুদ্ধে গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক অতি গোপনীয় বিষয় রয়েছে বলেও অভিযোগ।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। গেল ফেব্রুয়ারিতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেয় ব্রিটিশ সরকার। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা।
তারা বলেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অতিসংবেদনশীল সামরিক ও কূটনৈতিক নথি প্রকাশ করায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সারা বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ করে দেয়ার মাধ্যম সাড়া ফেলেন অ্যাসাঞ্জ। তবে অনেকেই মনে করেন, কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে গুরুতর কোনো অপরাধ করেননি অ্যাসাঞ্জ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: